ঢাকা,বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

চকরিয়ায় কৃষক জিন্মি করে ধানবীজ বিক্রিতে রমরমা বাণিজ্যের অভিযোগ

ovijog_1এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারনে ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসেব মতে, পানিতে তলিয়ে গিয়ে উপজেলার ৪০ হেক্টর বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থার কারনে উপজেলার হাজারো কৃষক ফের নতুন বীজতলা তৈরী নিয়ে চরম কষ্টে রয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, বন্যাদুগ এলাকার কৃষকের দৈন্যদশার সুযোগ নিয়ে চকরিয়া সদরের কয়েকটি বীজ দোকানদার রমরমা বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। গতবছর এক প্যাকেট ধানের বীজ ২৭০ টাকা মুল্যে বিক্রি করা হলেও এবছর একই কোম্পানীর এক প্যাকেট ধানের বীজ বিক্রি করা হচ্ছে সাড়ে ৪শত টাকা।

কৃষকরা জানিয়েছেন, চকরিয়া পৌরশহরের সোসাইটি মার্কেটের জিয়াউদ্দিনের ‘জননী এগ্রো ও ওসমান গনীর ‘নিউ সুপার সিট এগ্রো’ নামের দুটি প্রতিষ্ঠানে ব্রিধান, ৪৯, ব্রিধান ৩৩, ব্রিধান ৩৯, ব্রিধান ৪৬ ও হরিধান বিআর ১০, বিআর ১১ জাতের ৫ কেজি ওজনের ধান বীজ বিক্রি করা হচ্ছে। অবশ্য এসব ধানবীজ মুলত চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের গয়ালমারাস্থ এডর্ভাস মাল্টিফারপাস কোম্পানীর পন্য।

কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, এডর্ভাস মাল্টিফারপাস কোম্পানীর ৫ কেজি ওজনের এক প্যাকেট ধানবীজ গতবছর ২৭০ টাকা মুল্যে অভিযুক্ত দুটি প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করা হয়। কিন্তু এবছর সম্প্রতি সময়ে বন্যায় বীজতলা নষ্ঠ হয়ে গেলে সুযোগে অভিযুক্ত দুটি বীজ দোকান মালিক ধানবীজ বিক্রির নামে গলাকাটা বাণিজ্য শুরু করেছে। বর্তমানে দুটি দোকানে এডর্ভাস মাল্টিফারপাস কোম্পানীর ৫ কেজি ওজনের এক প্যাকেট ধান বীজ বিক্রি করা হচ্ছে ৪৫০ টাকা। ঘটনাটি ইতোমধ্যে কৃষকরা স্থানীয় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদেরকে জানানোর পরও কোন ধরণের প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আতিক উল্লাহ বলেন, অনেক কৃষক এডর্ভাস মাল্টিফারপাস কোম্পানীর ধানবীজ ক্রয় করতে গিয়ে গলাকাটা বাণিজ্যের শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি ইতোমধ্যে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সুপারিশ করা হবে।

পাঠকের মতামত: